ইত্তেহাদ সম্পর্কে
নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী আলা রাসূলিহিল কারীম। আম্মা বা‘দ। যেহেতু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবজাতিকে কোরআনভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে সত্যিকার মানুষরূপে গড়ে তুলেছেন, সেহেতু এ শিক্ষার মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানবজাতির ইহ ও পরকালীন কল্যাণ। যেহেতু মুসলিম জাতির জন্য এ শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, তাই এ শিক্ষাধারা সংরক্ষণ ও লালন করা মুসলিম জাতির অপরিহার্য কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রবর্তিত শিক্ষাধারা যেহেতু মানবজাতির বিশেষভাবে মুসলিম জাতির ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির মাধ্যম সেহেতু এটাই মুসলিম জাতির জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা।সাথে সাথে এটাই আমাদের ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক ও শিক্ষাব্যবস্থা। তার বর্তমান উত্তরসূরি এ যুগের কওমী মাদরাসা। তাই, আমাদের পূর্ববর্তী মুখলিস আকাবির ও মনীষীবৃন্দ কওমী মাদরাসাসমূহকে ঐক্যবদ্ধ করে সম্মিলিতভাবে তার চিন্তাধারার সংরক্ষণ, বিকাশ, উন্নয়ন, প্রচার-প্রসার, চর্চা-গবেষণা ও অনুশীলন প্রভৃতি উদ্দেশ্য সামনে রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দ ও বাংলাদেশের জাতীয় বোর্ডের আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির অনুকরণ ও অনুসরণে ইত্তহাদু ওলামাইল মাদারিসিল ক্বওমীয়া ভোলা (আঞ্চলিক ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ভোলা)প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহ পাক তাদের উত্তম বিনিময় দান করুন। বস্তুত, ইত্তেহাদ আমাদের নিকট মুরুব্বীয়ানে কেরামের রেখে যাওয়া একটি পবিত্র আমানত। পরিশেষে আমি ভোলার ছোট-বড় সকল কওমী মাদরাসা যেগুলো এখনও ইত্তেহাদে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, সেগুলোর মুহতামিম ও পরিচালকবৃন্দের খেদমতে ইত্তেহাওদ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
মাওলানা আনাছ সাহেব
নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী আলা রাসূলিহিল কারীম। আম্মা বা‘দ। যেহেতু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবজাতিকে কোরআনভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে সত্যিকার মানুষরূপে গড়ে তুলেছেন, সেহেতু এ শিক্ষার মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানবজাতির ইহ ও পরকালীন কল্যাণ। যেহেতু মুসলিম জাতির জন্য এ শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, তাই এ শিক্ষাধারা সংরক্ষণ ও লালন করা মুসলিম জাতির অপরিহার্য কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রবর্তিত শিক্ষাধারা যেহেতু মানবজাতির বিশেষভাবে মুসলিম জাতির ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির মাধ্যম সেহেতু এটাই মুসলিম জাতির জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা।সাথে সাথে এটাই আমাদের ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক ও শিক্ষাব্যবস্থা। তার বর্তমান উত্তরসূরি এ যুগের কওমী মাদরাসা। তাই, আমাদের পূর্ববর্তী মুখলিস আকাবির ও মনীষীবৃন্দ কওমী মাদরাসাসমূহকে ঐক্যবদ্ধ করে সম্মিলিতভাবে তার চিন্তাধারার সংরক্ষণ, বিকাশ, উন্নয়ন, প্রচার-প্রসার, চর্চা-গবেষণা ও অনুশীলন প্রভৃতি উদ্দেশ্য সামনে রেখে এবং দারুল উলুম দেওবন্দ ও বাংলাদেশের জাতীয় বোর্ডের আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গির অনুকরণ ও অনুসরণে ইত্তহাদু ওলামাইল মাদারিসিল ক্বওমীয়া ভোলা (আঞ্চলিক ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ভোলা)প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহ পাক তাদের উত্তম বিনিময় দান করুন। বস্তুত, ইত্তেহাদ আমাদের নিকট মুরুব্বীয়ানে কেরামের রেখে যাওয়া একটি পবিত্র আমানত। পরিশেষে আমি ভোলার ছোট-বড় সকল কওমী মাদরাসা যেগুলো এখনও ইত্তেহাদে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, সেগুলোর মুহতামিম ও পরিচালকবৃন্দের খেদমতে ইত্তেহাওদ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
মাওলানা বশির উদ্দিন
নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী আলা রাসূলিহিল কারীম। আম্মা বা‘দ। মাদরাসা শিক্ষার মূল বৈশিষ্ট্য হলো- আসমানী শিক্ষাকে জ্ঞানের মূল স্বীকার করে এ শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা। বৈষয়িক জ্ঞানসমূহের যা কল্যাণকর, তা গ্রহণ করা এবং আসমানী জ্ঞানের আলোকে তাতে সংস্কার করা। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রবর্তিত শিক্ষা ধারার উপর অনড় থাকা। এ বৈশিষ্ট্যত্রয়ের কারণে মাদরাসা শিক্ষার যুগে মুসলমানরা বহুমুখী অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। ভোলাতে ঐ বৈশিষ্ট্যের ধারক ক্বাওমি মাদরাসাসমূহের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে গঠিত দ্বিপ জেলা ভোলার ইত্তেহাদু ওলামাইল মাদারিসিল ক্বওমীয়া ভোলা (আঞ্চলিক ক্বওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, ভোলা) কওমী মাদরাসাসমূহকে ঐক্যবদ্ধ করে ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক প্রচার-প্রসার এবং বিপ্লব ঘটিয়ে মুসলমানদের সার্বিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করি, ইত্তেহাদকে তার অভীষ্ট লক্ষ্য পানে এগিয়ে যাওয়ার তাওফীক দান করেন।
ইত্তেহাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ক্বাওমী মাদ্রাসা সমূহের শিক্ষারমান উন্নয়নসহ আল্লাহ তায়ালা ওতার রাসুল (সাঃ)এর বিধান মতে সকল প্রকার প্রদর্শিত দ্বীনি কাজে ঐক্যবদ্ধভাবে ছহি আক্বিদার ভিত্তিতে এবং আকাবেরে দেওবন্দের মাছলাক অনুযাহী পারস্পারিক ঘনিষ্ঠ সম্পরক স্থাপন পূর্বক উহার আলোকে মানব জীবনের সরবস্তরে বিন্যাশ সাধনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করা।